whatsapp

আজ এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে ব্লকচেইন প্রযুক্তি সাড়া বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যুগের সাথে তাল মিলানর খাতিরে বাংলাদেশকেও ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে। ব্লকচেইন আধুনিক যুগের এক নব উদ্ভাবিত প্রযুক্তি। ব্লকচেইন প্রযুক্তি ১৯৯১ সালে গবেষণা বিজ্ঞানী স্টুয়ার্ট হ্যাবার এবং ডব্লিউ স্কট স্টরনেটা দ্বারা বর্ণনা করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে, সাতোশি নাকামোতো ডিস্ট্রিবিউটেড ব্লকচেইনের তত্ত্বের ধারণা করেছিলেন যা বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের জন্য কাজ করে। কিন্তু বর্তমানে এই ব্লকচেইন প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।বিকেন্দ্রিক তথ্য বণ্টনের মাধ্যমে ব্লকচেইন প্রযুক্তি এক নতুন ধরনের ইন্টারনেট সৃষ্টি করেছে। ব্লকচেইন হল একটি বিতরণ করা ডাটাবেস বা লেজার যা একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের নোডগুলির মধ্যে ভাগ করা হয়। একটি ব্লকচেইন ডাটাবেস ব্লকে ডেটা সঞ্চয় করে যা একটি চেইনে একসাথে সংযুক্ত থাকে।

এটি একটি অপরিবর্তনযোগ্য ডিজিটাল তথ্য লেনদেন মাধ্যম যা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্যই প্রযোজ্য নয়। বর্তমানে এ প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেকোনো কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। একবার ব্লকচেইনে কোন ডেটা প্রবেশ করলে তা স্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং মুছে ফেলা যায় না। ব্লকচেইন প্রযুক্তি হল একটি কাঠামো যা পিয়ার-টু-পিয়ার নোডের মাধ্যমে সংযুক্ত একটি নেটওয়ার্কে “চেইন” নামে পরিচিত বিভিন্ন ডেটাবেসে জনসাধারণের লেনদেন সংক্রান্ত রেকর্ড, যা ব্লক নামেও পরিচিত, সংরক্ষণ করে। সাধারণত, এই স্টোরেজটিকে 'ডিজিটাল লেজার' হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এই লেজারের প্রতিটি লেনদেন মালিকের ডিজিটাল স্বাক্ষর দ্বারা অনুমোদিত, যা লেনদেনটিকে প্রমাণীকরণ করে এবং এটিকে টেম্পারিং থেকে রক্ষা করে। তাই, ডিজিটাল লেজারে যে তথ্য রয়েছে তা অত্যন্ত সুরক্ষিত। সহজ কথায়, ডিজিটাল লেজার হল একটি নেটওয়ার্কে অসংখ্য কম্পিউটারের মধ্যে শেয়ার করা একটি গুগল স্প্রেডশীটের মতো, যাতে প্রকৃত কেনাকাটার উপর ভিত্তি করে লেনদেনের রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়। চিত্তাকর্ষক কোণ হল যে কেউ ডেটা দেখতে পারে, কিন্তু তারা এটিকে দূষিত করতে পারে না। ব্লকচেইন প্রযুক্তির ডাটাবেস সবার জন্য উন্মুক্ত এবং বিকেন্দ্রিক। ব্লকচেইনে যেহেতু তথ্য কোথাও কেন্দ্রীভূত হয় না তাই এটা হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থেকেও মুক্ত।

ব্লকচেইনের সাথে, ব্যবহারকারীদের পারস্পরিক সম্মতিতে লেনদেন করা হয় যার ফলে মসৃণ, নিরাপদ এবং দ্রুত লেনদেন হয়। ব্লকচেইন প্রযুক্তি বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন—ভূমি নিবন্ধন রেকর্ড সংরক্ষণ; স্টকমার্কেট এ লেনদেন কাগজবিহীন গ্রাহক অনবোর্ডিং; সুনিশ্চিত অনলাইন রেটিং সিস্টেম; আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা; প্রকৃত রেমিট্যান্স আয় সঠিকভাবে ট্র্যাক করা যাবে ইত্যাদি আরও অনেক কাজে ব্লকচেইন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। বাংলাদেশেও এই ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা যায়। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ রেইলওয়ের অনলাইন টিকেটিং ব্যবস্থা; ব্যাংকিং সিস্টেম; ভোট দান ব্যবস্থা; জনগণের সাধারণ তথ্য রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা ইত্যাদি ব্লকচেইন প্রযুক্তির আউতাভুক্ত করা যেতে পারে। এখন উত্তম সময় এই ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ সুরু করার। কারণ, আমরা এখনই নিজেদের মানিয়ে নিতে না পারি, তাহলে আমরা হয়তো এগোব ঠিকই, কিন্তু অন্যরা আমাদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে যাবে। নতুন প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই পিছিয়ে পড়তে চাইবে না!

লেখকঃ
মার্জিয়া মাহজাবিন তন্নী
মোহাম্মদ মাহিন আলি

author : Jorden Griffin

the main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. The main compont of a healthy environment.

Comments :
Jorden Griffin - 6 Aug 2022
Replay

the main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. The main compont of a healthy environment.

Jorden Griffin - 6 Aug 2022
Replay

the main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. The main compont of a healthy environment.

Jorden Griffin - 6 Aug 2022
Replay

the main component of a healthy environment for self esteem is that it needs be nurturing. The main compont of a healthy environment.

Add Comment :